Search

Banner ad

Monday, July 17, 2017


ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনায় মামলা হচ্ছে

বাস উল্টো পথে যেতে বাধা দেওয়ায় রাজধানীর বাংলামোটরে সোমবার পুলিশের সার্জেন্ট কায়সার হামিদকে মারধর করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। প্রথম আলাে ফাইল ছবিদোতলা বাস নিয়ে উল্টো পথে যেতে না দেওয়ায় রাজধানীর বাংলামোটরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুলিশের এক সার্জেন্টকে মারধরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া নয়টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক, দক্ষিণ) একজন কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ঘটনায় খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁরা নিয়ম ভঙ্গকারী ও হামলাকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ বিষয়ে রাজধানীর রমনা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গতকাল সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হন সার্জেন্ট কায়সার হামিদ। শাহবাগের দিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি দোতলা বাস বাংলামোটরে সিগন্যালে এসে থামে। এ সময় কয়েকজন ছাত্র বাস থেকে নেমে কারওয়ান বাজারের (সোনারগাঁও ক্রসিং) দিক থেকে শাহবাগগামী গাড়িগুলোকে আটকে দোতলা বাস দুটিকে উল্টো পথে নেওয়ার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত সার্জেন্ট এসে বাধা দেন। সার্জেন্টের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। সার্জেন্ট ছাত্রদের চলতি ট্রাফিক আটকাতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে বাস থেকে আরও কয়েকজন ছাত্র নেমে সার্জেন্টের ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী হামলাকারীদের নিরস্ত করারও চেষ্টা করেন। তবে তাঁদের থামানো যাচ্ছিল না। ঘটনাস্থলে থাকা আরেক সার্জেন্ট দৌড়ে গিয়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ শুরু করলে ছাত্ররা বাসে ফিরে যান। তখন বাস দুটি সোজা পথেই কারওয়ান বাজারের দিকে রওনা হয়।

উল্টো পথে বাস চলতে বাধা, সার্জেন্টকে মারধর

বাস উল্টো পথে যেতে বাধা দেওয়ায় রাজধানীর বাংলামোটরে পুলিশের সার্জেন্ট কায়সার হামিদকে মারধর করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। ছবি: আশরাফুল আলমদোতলা বাস নিয়ে উল্টো পথে যেতে না দেওয়ায় রাজধানীর বাংলামোটরে পুলিশের এক সার্জেন্টকে মারধর করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
আজ সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার সার্জেন্টের নাম কায়সার হামিদ। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিয়াজ রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে শাহবাগের দিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি দোতলা বাস বাংলামোটরে সিগন্যালে এসে থামে। এ সময় কয়েকজন ছাত্র বাস থেকে নেমে কারওয়ান বাজারের (সোনারগাঁও ক্রসিং) দিক থেকে শাহবাগগামী গাড়িগুলোকে আটকে দোতলা বাস দুটিকে উল্টো পথে নেওয়ার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত সার্জেন্ট এসে বাধা দেন। সার্জেন্টের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। সার্জেন্ট ছাত্রদের চলতি ট্রাফিক আটকাতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে বাস থেকে আরও ছাত্ররা নেমে সার্জেন্টের ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। এ সময় আবার কিছু শিক্ষার্থী হামলাকারীদের নিরস্ত করারও চেষ্টা করেন। তবে তাঁদের থামানো যাচ্ছিল না। ঘটনাস্থলে থাকা আরেক সার্জেন্ট দৌড়ে গিয়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ শুরু করলে ছাত্ররা বাসে ফিরে যান। তখন বাস দুটি সোজা পথেই কারওয়ান বাজারের দিকে রওনা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী এক কলেজছাত্র বলেন, ঘটনার শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি বাসের মধ্যে একটি দোতলা বাস উল্টোপথে ঢুকে পড়ে। বাকি দুটি বাসকে আটকাতে গিয়েই তোপের মুখে পড়েন সার্জেন্ট কায়সার।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সার্জেন্ট কায়সার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবে, এ বিষয়ে কোনো মামলা করেননি।
ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মো. আলাউদ্দীন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস বাংলামোটর থেকে উল্টো পথে সোনারগাঁও ক্রসিংয়ের দিকে যেতে চাইলে কর্তব্যরত সার্জেন্ট কায়সার হামিদ বাধা দেন। বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাঁরা সার্জেন্টের ওপর চড়াও হন, কিছু ধাক্কাধাক্কি করেন। পরে অবশ্য বাস দুটি সোজা পথেই পাঠানো হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি

‘বিচার বিভাগকে কোণঠাসা করে দেশের মঙ্গল হয় না’

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমপ্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে বলেছেন, ‘একদিন আপনি থাকবেন না, আমি থাকব না। বিচার বিভাগ থাকবে। এই জুডিশিয়ারি সবার। এই কোর্টকে রাখতে হলে সবার দায়িত্ব আছে। জুডিশিয়ারিকে কর্নাড (কোণঠাসা) করে দেশের মঙ্গল হয় না।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
শুনানিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা-সম্পর্কিত হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আজ মঙ্গলবার আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়েছেন আপিল বিভাগ।

Friday, June 9, 2017

সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কী হবে?


সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কী হবে?

আজ সকালের আলোয় লন্ডনে হাউস অব পার্লামেন্ট। ছবি: রয়টার্সযুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাহলে কীভাবে সরকার গঠন হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
যে দলের সবচেয়ে বেশি এমপি, সেই দলই কি সরকার গঠন করবে?
এমনটাই হতে হবে, তা নয়। পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনের সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর যে দল থেকে সবচেয়ে বেশি এমপি নির্বাচিত হন সাধারণত সেই দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সেই দলের নেতাই প্রায় সব সময়ই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হন। 
কিন্তু কোনো দলই স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে এবার তা না-ও হতে পারে। যে দল দ্বিতীয় স্থানে থাকবে, সে দলও অন্য দলের সহযোগিতায় সরকার গঠন করতে পারে।
নিজের বাড়ির বাইরে আজ সকালে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। ছবি: রয়টার্সকোনো দল কখন জয়ী হয়?
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সবচেয়ে সহজ পথ হলো পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমনসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন। যে দল থেকে সবচেয়ে বেশি এমপি নির্বাচিত হয়, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। ৩২৬টি আসনে জয়ী হলে একটি দল নিরঙ্কুশভাবে সরকার গঠন করতে পারে এবং পার্লামেন্টে নতুন আইন প্রণয়ন করতে পারে। আর কোনো দল এককভাবে এত আসন না পেলে, সেটা হবে ‘ঝুলন্ত পার্লামেন্ট’।
নির্বাচন শেষে লন্ডনে কনজারভেটিভ পার্টির সদর দপ্তর থেকে বেরিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ছবি: রয়টার্সঝুলন্ত পার্লামেন্ট কী? 
যখন কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে পর্যাপ্ত এমপি না পায়, তখন পার্লামেন্ট গঠনে বিদ্যমান অনিশ্চিত পরিস্থিতিকে ‘ঝুলন্ত পার্লামেন্ট’ বলে। ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে এমনটা হয়েছিল। 
জেরেমি করবিনের বাড়ির বাইরে জানালায় নিজ দলের নির্বাচনী এক পোস্টার। ছবি: রয়টার্সঝুলন্ত পার্লামেন্ট হলে কী হবে?
এ ধরনের পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিই ক্ষমতায় থাকবে এবং থেরেসা মে ডাউনিং স্ট্রিটেই বাস করবেন। 
এ পর্যায়ে দলের নেতাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক চলবে। তাঁরা একটা জোট সরকার গঠনের চেষ্টা চালাবেন। সে ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা থেরেসা মে বা লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনকে প্রধানমন্ত্রী করে সরকার গঠন হতে পারে। 
অথবা দুই দলের মধ্যে কোনো একটি দলের নেতা অন্যান্য ছোট দলের সমর্থনের ভিত্তিতে একক সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে পারে। এখানে প্রয়োজনীয় আইনগত অনুমোদনের বিষয়টি রয়েছে।
এ ধরনের জোট সরকার গঠনের সুযোগ কে প্রথম পাবে?
থেরেসা মে প্রথমে সরকার গঠনের সুযোগ পাবেন। এ-সংক্রান্ত আলোচনা চলাকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকবেন। তবে এমন না যে থেরেসার চেষ্টাকালে করবিন বসে থাকবেন। যদি দেখা যায় থেরেসা এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন এবং জেরেমি করবিন সফল হয়েছেন, তাহলে থেরেসাকে পদত্যাগ করতে হবে। তখন করবিনই হবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে থেকে সকালে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকেরা লাইভ করেন। ছবি: রয়টার্সএই দেন-দরবার কত দিন চলতে পারে?
এর কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। ২০১০ সালের নির্বাচনে জোট সরকার গঠনের জন্য পাঁচ দিন সময় লেগেছিল, তবে সাধারণত এই আলোচনা ও দর-কষাকষিতে আরও বেশি সময় লাগে।
আলোচনাপ্রক্রিয়া নিশ্চয়ই অনির্দিষ্টকাল ধরে চলবে না? 
এবার প্রথম দফায় চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া আছে ১৩ জুন। নতুন পার্লামেন্ট শুরু হবে সেই দিন। মন্ত্রিপরিষদ অফিসের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, থেরেসা ক্ষমতায় থাকতে বা ছেড়ে যেতে চাইলে ১৩ জুনের মধ্যে একটা সমঝোতা সম্পন্ন করতে হবে। তবে থেরেসাকে নিশ্চিত হতে হবে যে জেরেমি করবিন এই সমঝোতা করতে পারছেন, আর তিনি পারেননি।

পদত্যাগের চাপে থেরেসা মে

পদত্যাগের চাপে থেরেসা মে


মেইডেনহেড কাউন্টিতে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভোট গণণা কেন্দ্রে ফলাফলের অপেক্ষায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ছবি: রয়টার্স
নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছেন থেরেসা মে। বিবিসি জানাচ্ছে, থেরেসা মের পদত্যাগের সম্ভাবনা ‘আধাআধি’।
আসন বাড়াতে গিয়ে উল্টো সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন থেরেসা মে। বিপরীতে বিরোধী দল লেবার পার্টিকে করে দিয়েছেন আরও শক্তিশালী।
ক্যামেরন লেবার দলের সঙ্গে এক শ আসনের যে ব্যবধান রেখে গিয়েছিলেন, থেরেসা তা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছেন। সরকারে না গেলেও প্রত্যাশার চেয়ে বেশ ভালো করেছে লেবার পার্টি।
যুক্তরাজ্যের পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। ৩৩০ আসন নিয়ে সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল কনজারভেটিভ পার্টির। নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইচ্ছামাফিক ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) নিজের ক্ষমতাকে আরও নিরঙ্কুশ করতে হুট করে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেন। মে শতাধিক আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবেন বলে মনে করা হচ্ছিলে। কিন্তু নতুন করে আসন জেতা দূরের কথা, উল্টো তিনি ১১টি আসন হারিয়েছেন। যে কারণে ঝুলে গেছে দলটির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। এককভাবে সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ৩২৬ আসন।
ঘোষিত ৬৪৭টি আসনের ফলাফলে কনজারভেটিভ পেয়েছে ৩১৬ আসন। লেবার দল পেয়েছে ২৬১ আসন। স্কটিশ জাতীয়তাবাদী দল ৩৫টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটস দল ১২টি আসন পেয়েছেন। গ্রিন পার্টি ১টি ও অন্যান্য দল পেয়েছে ২২টি আসন।

কনজারভেটিভ দল থেকেই দাবি উঠেছে, থেরেসা যেন নেতৃত্ব থেকে সরে যান। দলটির নেতারা গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে এখনো কিছু না বললেও মের পদত্যাগের পক্ষে অভিমত তুলে ধরছেন। দলটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা গোপন বৈঠকে বসেছেন বলেও গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
কনজারভেটিভ দলীয় সাবেক মন্ত্রী অ্যানা সোবরি অবশ্য প্রকাশ্যেই বলেছেন, থেরেসা মে ‘শক্তিশালী ও স্থিতিশীল’ নেতৃত্বের জন্য এই নির্বাচন দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাঁর সরে যাওয়া উচিত।
লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন তাঁর ইজলিংটন নর্থ আসনে বিজয়ী ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা তাঁর নেতৃত্ব শক্তিশালী করতে জনরায় চেয়েছেন। কিন্তু আসন হারিয়েছেন। ভোট হারিয়েছেন। সমর্থন হারিয়েছেন। তিনি যে জনরায় পেয়েছেন, তা তাঁর সরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
জনগণের প্রত্যাশিত সরকার গঠনে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য থেরেসার বিদায় নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন করবিন।
অর্জিত ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে করবিন বলেন, কৃচ্ছ্রসাধনের রাজনীতি ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতি বদলে গেছে। এটা আর পুরোনো অবস্থায় ফিরে যাবে না।
কনজারভেটিভ দল এককভাবে সরকার গঠন করতে না পারায় ব্রেক্সিট সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। কেননা একমাত্র নর্দান আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) সরকার গঠনে কনজারভেটিভ দলকে সমর্থন দিতে রাজি। কিন্তু ওই দল ব্রেক্সিটেরঘোর বিরোধী। ফলে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন প্রশ্নে দুই দলের একমত হওয়ার সমীকরণ অত্যন্ত জটিল।
মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এটি যুক্তরাজ্যে তৃতীয় জাতীয় নির্বাচন। ২০১৫ সালে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ দল ৩৩০টি আসন পেয়ে এককভাবে ক্ষমতায় ফেরে। এরপর ২০১৬ সালের জুনে ব্রেক্সিট প্রশ্নে অনুষ্ঠিত হয় গণভোট। ওই গণভোটে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইইউতে থাকার পক্ষে ছিলেন। জনগণ বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দিলে ক্যামেরন পরাজয় মেনে পদত্যাগ করেন। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী হন থেরেসা মে।
গণভোটের রায় বাস্তবায়নে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে থেরেসা মের ইচ্ছায় এই মধ্যবর্তী নির্বাচন হয়। আর এই নির্বাচনে প্রত্যাশিত জয় না পাওয়ায় থেরেসার বিদায় অনেকটা নিশ্চিত। ব্রেক্সিট ইস্যু যুক্তরাজ্যের আরেকজন প্রধানমন্ত্রীর বিদায় ঘণ্টা বাজাচ্ছে।

Tuesday, June 6, 2017

ঈদযাত্রায় ২২ ও ২৩ জুনের টিকিটের চাহিদা বেশি


ঈদযাত্রায় ২২ ও ২৩ জুনের টিকিটের চাহিদা বেশি

প্রতিবারই ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের বাস-ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। টিকিট পেতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু হয়। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়ান টিকিটপ্রত্যাশীরা। অগ্রিম টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ইতিমধ্যে অনেকে বাসের অগ্রিম টিকিটের জন্য অনুরোধ করেছেন। এর মধ্যে ২২ ও ২৩ জুনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
এদিকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময় নির্ধারণের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার সভা ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। অন্যদিকে বাসের টিকিট বিক্রি ১২ জুন থেকে শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে বাস-মালিক সমিতি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২৭ জুন ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য দিন ধরে ২২ ও ২৩ জুন বাড়ি ফেরার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় বলে ধরা হচ্ছে। কারণ ২৭ জুন হচ্ছে মঙ্গলবার। ওই দিন ঈদ হলে আগের দিন সোমবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। এর আগে ২২ জুন বৃহস্পতিবার। পরদিন ২৩ ও ২৪ জুন শুক্র ও শনিবার নিয়মিত ছুটি থাকে।
বাস ও ট্রেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৭ জুন ঈদ হলে সবচেয়ে বেশি চাপ থাকবে ২২ ও ২৩ তারিখের টিকিটের। ২২ জুন বৃহস্পতিবার। ওই দিন সরকারি চাকরিজীবীসহ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা শেষ কর্মদিবস ধরে অফিস শেষে ঢাকা ছাড়বেন। যাঁরা এই দিনের টিকিট পাবেন না, তাঁরা পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার ঢাকা ছাড়বেন। এ ক্ষেত্রে কম চাপ আছে ২৪ থেকে ২৬ জুনের টিকিটের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস আর ট্রাভেলসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক প্লাবন রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে নিয়মিত যাত্রীরা ২২ ও ২৩ জুনের টিকিটের জন্য আবেদন করছেন। এই দুদিনেই সবচেয়ে বেশি লোক ঢাকা ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে।’ তবে টিকিট নির্ধারিত দিনে নিয়ম অনুযায়ী দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাসের অগ্রিম টিকিট কবে ছাড়া হবে—জানতে চাইলে বাস মালিক সমিতির একাধিক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা চলেছ। সবার মতামত নিয়ে তারিখ ঠিক করা হবে।
বাস-মালিক সমিতির সহকারী সাধারণ সম্পাদক খাজা গোলাম মুর্শিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দিন নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা চলছে। ১২ জুন থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে। তবে এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
রেলের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২২ ও ২৩ জুন যাত্রীদের চাপ বেশি থাকবে। বাসে যানজট এড়াতে এই দুদিন রেলের ওপর চাপ থাকবে সবচেয়ে বেশি।
এদিকে ট্রেনের টিকিট ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ৮ জুন দুপুরে রেল ভবনে সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এবার বাড়তি কোনো সুবিধা থাকছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৮ জুন সভায় আসেন তাহলে সব জানতে পারবেন।’
ঈদে বাড়ি ফেরার ক্ষেত্রে যাত্রীদের অনেকে ২২ জুনকে শেষ কর্মদিবস ধরে টিকিট কিনতে আগ্রহী। যত আগে যেতে পারবেন, তত বেশি দিন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন এমন ভাবনা তাঁদের। তবে কেউ কেউ ভিড় এড়াতে একটু পরেই যেতে চান।
আজিমপুরের বাসিন্দা সরকারি চাকুরে নাজমুল ইসলাম বলেন, এবারের ঈদে তিনি গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যাবেন। ২২ জুন শেষ কর্মদিবসে তিনি গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিতে চান। তবে সেটা টিকিট প্রাপ্তির ওপর নির্ভর করছে। তিনি ওই দিনের বাসের টিকিট কাটবেন।
বেসরকারি চাকরিজীবী এমদাদুল হকের আশঙ্কা ২২ জুন যানজট বেশি থাকবে। এর পরদিনও ভিড় থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। বললেন, ভিড় এড়াতে তিনি ২৪ বা ২৫ জুনের টিকিট কাটবেন।
অনলাইনে বাসের টিকিট: সহজ ডটকম নামের একটি অনলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে নির্দিষ্ট কিছু বাসের টিকিট বিক্রি করছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা ২৮টিরও বেশি বাস কোম্পানির টিকিট অনলাইনে বিক্রি করে। কলসেন্টারে ফোন করে বা অনলাইনে কেউ চাহিদা দিতে পারেন। এই সেবা পেতে ১৬৩৭৪ নম্বরে কল করতে হবে।

চড়কা, চরকা